ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা তারেক রহমান-বাবর খালাস আস্থার সংকটে প্রশাসন ও অর্থনীতি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়হীন কর্মকাণ্ডে বিপন্ন মানবাধিকার ক্ষমতা বদলের জন্য জুলাই বিপ্লব হয়নি- জামায়াত গাইবান্ধায় কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার, আটক ৩ ধূমপান নিয়ে তর্ক, পরিবহন কাউন্টারে হামলা-ভাঙচুর দুদকের মামলায় খালাস মীর নাসির ও মীর হেলাল রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসিয়ানকে এগিয়ে আসার আহ্বান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাই টার্গেট ডাকাতদের গ্রেফতার ৭ আদাবরে পুলিশের ওপর হামলা কারাগারে ১১ আসামি নির্বাচন না হলে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হবে- সাইফুল হক প্রধান শিক্ষকের ২১৬৯ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল দাবি ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৭ সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে পরিবহন চালকদের বিশ্রামাগার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই ভেজাল ওষুধ সেবনে বাড়ছে মৃত্যুর হার পোরশায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত পোরশায় বিএনপি'র উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রাজধানীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
* স্থবিরতা ও সমন্বয়ের ঘাটতি * ১৩ মাসেও প্রশাসনে ফেরেনি কাক্সিক্ষত গতি * জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ঘিরে অসন্তোষ * বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অচলাবস্থা * ব্যাংক খাতে আস্থার ঘাটতি

আস্থার সংকটে প্রশাসন ও অর্থনীতি

  • আপলোড সময় : ০৫-০৯-২০২৫ ১২:০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০৯-২০২৫ ১২:০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
আস্থার সংকটে প্রশাসন ও অর্থনীতি
দেশে সরকার পরিবর্তনের এক বছর পার হলেও রাজনীতিতে এখন পর্যন্ত সার্বিকভাবে স্বস্তি ফিরে আসেনি। একই সঙ্গে যেমন অস্থিরতা বিরাজ করছে প্রশাসনে, তেমনই আস্থার সংকট অর্থনীতিতে।  প্রশাসনের সর্বত্রই পারস্পরিক সন্দেহ আর অবিশ্বাস। নিজেকে ‘ভালো’ অবস্থানে নিতে রাজনৈতিক প্রলেপে একে-অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতেও ব্যস্ত কেউ কেউ। সব কিছু মিলিয়ে কঠিন সময় পার করছে দেশের প্রশাসন। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলছেন কেউ কেউ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্থবিরতা ও সমন্বয়ের ঘাটতি: খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের প্রশাসনের সর্বত্রই এক ধরনের স্থবিরতা চলছে। কাজকর্মে সমন্বয়ের অভাবও দৃশ্যমান। পদোন্নতি, ক্যাডার বৈষম্য, মহার্ঘ ভাতার দাবিসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে সচিবালয়ের কর্মচারীরা সোচ্চার। এর মধ্যে চলছে বাধ্যতামূলক অবসর ও ওএসডি করার কার্যক্রম। এখনও সচিবালয়ে চলছে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ শনাক্তের অলিখিত কার্যক্রম। বিভিন্ন সূত্র বলছে, একশ্রেণির ‘সুবিধাবাদী’ কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। অপরকে ‘ফ্যাসিবাদের’ তকমা দিয়ে নিজেকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে যাওয়ার এই প্রতিযোগিতা থেমে নেই। এসবের কারণে প্রশাসনে সৃষ্টি হয়েছে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা। এই উত্তেজনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে ‘ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি’। ফলে সরকারি কাজকর্মে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক দলের ঐক্য কতদূর: অপরদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের মূল বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের সম্ভাবনা এখনও দৃশ্যমান নয়। যেসব খাতে সংস্কার কার্যক্রম চলমান—সেগুলো নিয়েও রয়েছে নানা শঙ্কা। সংবিধান, বিচার বিভাগ, আর্থিক খাত, নির্বাচনব্যবস্থা পুনর্গঠন নিয়ে সিরিজ বৈঠক করেও গ্রহণযোগ্য সমাধান এখনও পাওয়া যায়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সামাজিক সংকট। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কাক্সিক্ষত উন্নতি না হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে বেড়েছে অস্বস্তি ও অস্থিরতা। ব্যাংক খাতের দুর্বলতা তো রয়েছেই। ডলারের বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে। টাকার মানও বেড়েছে সামান্য। কিন্তু ব্যাংক খাত থেকে লুট হওয়া অর্থ ফেরত না আসায় রেকর্ড পরিমাণ খেলাপি ঋণ তৈরি হয়েছে। আদায়ের সম্ভাবনা না থাকায় বিপুল পরিমাণ অবলোপন করতে হয়েছে। রাজস্ব খাতেরও উন্নতি হয়নি।
বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন, সরকারের কার্যক্রম নিয়ে শক্ত কথা বলার সময় এসেছে। বলা হচ্ছে, এই সরকারের কোনও নৈতিক অবস্থান নেই। তারপরও অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো এখনও ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে অটুট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও বলেছেন, মতপার্থক্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য আরও সুদৃঢ় ও দৃশ্যমান করা প্রয়োজন। এরই মধ্যে আবারও গত দুদিন ধরে প্রধান উপদেষ্টা ১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ বিষয়ে জানানো হলেও অনেকের কাছেই তা ‘অসম্পূর্ণ বক্তব্য’ বলে আস্থা সৃষ্টি করতে পারছে না। 
১৩ মাসেও প্রশাসনে ফেরেনি কাক্সিক্ষত গতি: অন্তর্বর্তী সরকারের গত ১৩ মাসেও প্রশাসনে কাক্সিক্ষত গতি ফেরেনি। সমন্বয়হীনতার কারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়ার পরপরই তা বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ দফতর ও মাঠ প্রশাসনেও ডিসি ও ইউএনও পদে নিয়োগের পরই তা বাতিল করতে হয়েছে। ডিসি ও ইউএনও পদে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রকাশ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। এ কারণে সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক দফতর বাংলাদেশ সচিবালয় ও জেলা উপজেলা প্রশাসনে স্থবিরতা নেমে আসে— যা এখনও চাঙা করা সম্ভব হয়নি।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ঘিরে অসন্তোষ: খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর মধ্যেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রতিবেদনকে ঘিরে প্রশাসনে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব পদোন্নতির সুপারিশ নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তি,  প্রশাসন ক্যাডার বাদ দিয়ে বাকি ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের অস্পষ্ট রিপোর্ট ও জনবিরোধী প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করাসহ ‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’—এই স্লোগানে ডিএস পুলে কোটা বাতিল এবং সব ক্যাডারের সমতার দাবি, ‘সংস্কার বা পুনর্গঠন প্রস্তাব’ না থাকায় বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ ক্যাডার সংশ্লিষ্ট বিবৃতিসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা) অ্যাসোসিয়েশনের ৫ দফা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের ৩ দফা এবং প্রশাসনের প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মকর্তারা ২০ শতাংশ এবং ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ৩০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে প্রশাসনে চলছে চরম অসন্তোষ।
ভূতাপেক্ষা পদোন্নতি: এমন পরিস্থিতিতে সরকার ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়েছে ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত’ দাবি করে আবেদন করা দেড় হাজার কর্মকর্তার (অবসরপ্রাপ্ত) মধ্যে ৭৬৪ জনকে উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব, গ্রেড-১ ও সচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে তাদের পাওনার অর্ধেক পরিশোধ করা হবে। তারা বাকি টাকা পাবেন আগামী বছর। এমনটি জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অপরদিকে সচিব পদে ১১৯, গ্রেড-১ পদে ৪১, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮, যুগ্ম-সচিব পদে ৭২ ও উপ-সচিব পদে ৪ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়। এই পদোন্নতি নিয়েও প্রশাসনে চলছে অসন্তোষ। বিদ্যমান পদে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, আমরা দায়িত্ব পালন করছি, কিন্তু দীর্ঘদিন আমাদের অধিকারের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছি। সেখানে আমাদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা না দিয়ে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি আরেক ধাপের বৈষম্যের জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সচিবালয়সহ জেলা উপজেলা প্রশাসনে অসন্তোষ চলছে।
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অচলাবস্থা: জানা গেছে, গত বছরের লাখো কোটি টাকার ঘাটতি নিয়ে নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুটাও ইতিবাচক হয়নি। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে আগের সেই অচলাবস্থা বিরাজমান। মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমলেও এখন পর্যন্ত অনেক চড়া। খাদ্যপণ্যের বাজারও আবার ঊর্ধ্বমুখী। সামগ্রিক অর্থনীতিতে আস্থার সংকট এখনও কাটেনি। কিছু ক্ষেত্রে এই সংকট আরও বেড়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করা হলেও সেই সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগকারীদের ওপর। নতুন করে কোনও বিনিয়োগই হচ্ছে না। ঘুরছে না কর্মসংস্থানের চাকা। ব্যবসা বাণিজ্যের মন্দা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। খোদ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আইএমএফের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ব্যাংক খাত পুনর্গঠনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে। গত বছরের আগস্টে যখন এই সরকার দায়িত্ব নেয়, তখন দেখা গেছে—এ রকম অবস্থা বিশ্বে কোথাও নেই। অর্থনৈতিক বিপর্যয় হয়েছে। পতিত সরকার ব্যাংক খাতের ৮০ শতাংশ অর্থ নিয়ে গেছে।
ব্যাংক খাতে আস্থার ঘাটতি: বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংক খাতে এখন নগদ টাকার ঘাটতি নেই। ঘাটতি হচ্ছে আস্থার। ২০২৫ সালের জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী নিট উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা—যা চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ। এই বিপুল অর্থ বাজারে প্রবাহিত হচ্ছে না। তবে কয়েকটি ব্যাংক বেশ সংকটের মধ্যে রয়েছে। এসব ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়মবহির্ভূতভাবে বেরিয়ে গেছে। সংকটের মূল কারণ বিনিয়োগের পরিবেশে অনিশ্চয়তা, ঋণের চাহিদার স্থবিরতা এবং ব্যাংক ব্যবস্থার প্রতি অবিশ্বাস। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নগদ সংকট ও স্বচ্ছতার অভাব গোটা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ‘পদ্ধতিগত অনাস্থা’ তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাজধানীতে একটি গোলটেবিল বৈঠকে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মিষ্টি কথা, ভালো কথা, ভালো উদ্যোগ ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু হয়েছে। ... আজ পাওনার হিসাবটা খুবই জরুরি। বিচার, সংস্কার, নির্বাচন এই বিষয়গুলোতে এক বছরে কী কী হলো, সেই পাওনার হিসাবটা আজ মূলকথা হতে হবে।’ একই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কোনও ভয়ভীতি নেই, এমনটা কেউই বলতে পারবে না। ভয় বিচারব্যবস্থার ভেতরেও আছে, বাইরেও আছে।’
বৈঠকে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী চেতনায় আমরা নতুন সরকার আনলাম। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী চেতনাকে তারা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রতিফলন করতে পারলো না। সরকারের কোনও নৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করা নেই।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, ‘প্রশাসনে নানামুখী সংকট রয়েছে। এসব সংকটই অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। সরকারের প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে রাজনৈতিক পরিচয় ফুটিয়ে তোলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে নানামুখী অভিযোগও উপস্থাপন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিদ্যমান অস্থির প্রশাসনের সর্বত্রই আস্থার সংকট পরিলক্ষিত হচ্ছে।
জানতে চাইলে সরকারের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগে প্রশাসন যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে, তফাৎ শুধু মানুষের। এ প্রসঙ্গে একজন সাবেক কেবিনেট সচিব জানিয়েছেন, প্রশাসনে কোনও ধরনের রাজনৈতিক ইন্ধন থাকা উচিত নয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনও ধরনের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নও সঠিক নয়। যদি তা করা হয়, তাহলে সেটা হবে উপযুক্তদের জন্য অপমানের।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স